ইডেন গার্ডেন্সে শেষ ওভারের নাটকীয়তা ছিল উপভোগ্য। লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে জয়ের জন্য কলকাতার প্রয়োজন ২১ রান। নাটকীয় ওভারটিতে জয়ের কাছাকাছি গিয়েছিল নিতিশ রানার দল। তবে ১ রানের হার মেনে নিয়ে আইপিএলের এবারের আসর থেকে বিদায় নিতে হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের

অন্যদিকে তৃতীয় দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। ঘরের মাঠে টস জিতে লক্ষ্ণৌকে ব্যাটে পাঠায় কলকাতা। আগে ব্যাটে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১৭৬ রান সংগ্রহ করে অতিথিদল। জবাবে ব্যাটে নেমে ৭ উইকেটে ১৭৫ রান করে স্বাগতিকরা। এই জয়ের সুবাধে ১৪ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে থেকে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে লক্ষ্ণৌ। অন্যদিকে ১৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সাতে থেকে আসর শেষ করেছে কলকাতা।

ইডেন গার্ডেন্সে ধারাবাহিকভাবেই লক্ষ্ণৌর উইকেট শিকার করে কলকাতার বোলাররা। ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিটাই হয়েছিল কিছুটা দীর্ঘ। আয়ুশ বাদোনি ও নিকোলাস পুরানের ব্যাটে আসে ৭১ রান। দলীয় ১৪৭ রানে ফেরেন আয়ুশ। ২১ বলে ২৫ রান করেন তিনি।
দলীয় ১৫৯ রানে আউট হন পুরান। ৩০ বলে ৫৮ রান করেন ক্যারিবীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটার। শেষ অবধি ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান করে লক্ষ্ণৌ।
কলকাতার হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সুনিল নারিন, শারদুল ঠাকুর ও বৈভব আরোরা। হার্শিত ও বরুণ নেন একটি করে উইকেট।


জবাবে ব্যাটে নেমে শুরুটা ভালোই পেয়েছিল কলকাতা। দুই ওপেনারের ৬১ রানের জুটির পর ফেরেন ভেঙ্কেটশ আয়ার। ১৫ বলে ২৪ রান করেন তিনি। দলীয় ৭৮ রানে ফেরেন নিতিশ রানা। ১০ বলে ৮ রান করেন তিনি। দশম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৮২ রানে ফেরেন জেসন রয়। ২৮ বলে ৪৫ রান করেন তিনি।


এরপর রিংকু সিং এক প্রান্ত আগলে রাখলেও অন্য প্রান্তে ধারাবাহিকভাবেই পতন হতে থাকে উইকেটের। শেষ অবধি রিংকুর অনবদ্য ইনিংসে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে ৩ উইকেট হাতে রেখে ১ রানে হারে কলকাতা। রিংকু অপরাজিত ছিলেন ৩৩ বলে ৬৭ রানে।


লক্ষ্ণৌর হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন রবি বিশ্নুই ও যশ ঠাকুর। কুর্নাল পান্ডিয়া ও গৌতম নেন একটি করে উইকেট।